নাটোরে আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ: আরও ১ জনের মৃত্যু

রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রুহুল আমিন (৪৫)। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হলেন।

আজ সোমবার সকালে রাজপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাইদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রুহুলের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, গতকাল রাতে এ সংষর্ঘের ঘটনা ঘটে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন মারা যান বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছিলেন সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আখতার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিনের মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে রোববার রাত ৯টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে বামিহাল দশোপাড়ায় ফরিদ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে ৩ জন আহত হন। 

পরে ফরিদের নেতৃত্বে বাজারে অবস্থানরত আফতাব ও তার অনুসারীদের ওপর পাল্টা হামলা করা হয়। এ সময় আফতাব ও কালাম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। পরে আফতাবকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হামলায় গুরুতর আহত ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস গতকাল ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৯ সালে আফতাব ও ফরিদ গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে ফরিদ গ্রুপের মোর্শেদুল ইসলামের পা কেটে দেওয়ার ঘটনায় আফতাব উদ্দিনকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago