জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করতে স্পিকারকে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের চিঠি

জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি: ফাইল ফটো

জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এই চিঠি দেওয়া হয়।

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বর্তমানে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। অন্যদিকে জিএম কাদের সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা। 

রওশন এরশাদ আগামী ২৬ নভেম্বর দলের কাউন্সিল ডাকার একদিনের মধ্যেই জাপার সংসদীয় দল বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকাশে এলো। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা অনেকদিন ধরে অসুস্থ। তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে সংসদেও ঠিকমত আসতে পারছেন না। এজন্য সংসদীয় দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠক করেছি আমরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্তের কথা মাননীয় স্পিকারকে জানিয়েছি।'

আজ সংসদ অধিবেশনের মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় চুন্নুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল তাদের সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের কথা স্পিকারকে জানান এবং চিঠি দেন।

জাপা চিঠি দিলেও এ ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়ার এক্তিয়ার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর।

সংরক্ষিত আসনসহ সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সংখ্যা ২৬ জন।

দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে জি এম কাদেরের দ্বন্দ্ব পুরনো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নানা বৈঠকে দুজন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

জাতীয় পার্টি ভেঙেছে বেশ কয়েকবার। দলটির সাবেক মহাসচিবদের নেতৃত্বে আলাদা কয়েকটি দল এখনও সক্রিয় রয়েছে।

৩ বছর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর দলে কর্তৃত্ব নিয়ে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের বিরোধে দলটি আবার ভাঙনের মুখে পড়েছিল। তখন জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়।

সেই সমঝোতায় রওশনকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি দলে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ দেওয়া হয়। আর কাদের দলের চেয়ারম্যানের পদ রাখার পাশাপাশি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার আসন নেন।

৮১ বছর বয়সী রওশন গত বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ। ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টানা ৮৪ দিন থাকার পর গত বছর থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago