স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

কয়েক ধরনের পরীক্ষা শেষ করে আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'য় ফেরেন। বিকেল ৪টার দিকে বাসা থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে চেকআপের জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী এনজিওপ্লাস্টি করার ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে ইকো, ইসিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও এক্সরে করা হয়েছে। রক্তের আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।'

'আমরা আশা করছি আগামী পরশুর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেয়ে যাব। এরপর মেডিকেল বোর্ড বসে রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে বিস্তারিত জানাতে পারব,' বলেন তিনি।

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।

সবশেষ গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি 'স্টেন্ট' বসানো হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।

দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন এবং এখন সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালে এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হলে অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে ৬ বার ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার 'পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ এবং লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

শারীরিক নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। 

কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago