স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকেল ৩টায় এভারকেয়ারে যাবেন খালেদা জিয়া

ফাইল ফটো

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, 'মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আজ বিকেলে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবেই তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বিকেল ৩টায় গুলশানের বাসা "ফিরোজা" থেকে তিনি রওনা হবেন খালেদা জিয়া। সেভাবেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি 'স্টেন্ট' বসানো হয়েছিল।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় উঠেন। এখনো তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে ৬ দফায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার 'পরিপাকতন্ত্রে' রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু, সাময়িক মুক্তির শর্তে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

54m ago