সীমান্তে চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি

কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঈদের দিন থেকেই সীমান্তে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহল।
লালমনিরহাটের ২৮২ কিলোমিটার ও কুড়িগ্রামের ২৫০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে যথাক্রমে ৭৪ ও ৩০ কিলোমিটার এলাকা এখনো কাঁটাতারবিহীন, যা পাচারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রবেশপথ বলে বিবেচিত।
সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করছে লালমনিরহাট ১৯ বিজিবি, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি, জামালপুর ৩৫ বিজিবি, রংপুর ৫১ বিজিবি ও ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা তাদের অধীনস্থ বিওপি ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা সীমান্তে দায়িত্বে থাকা একজন বিজিবি সদস্য বলেন, 'ঈদের দিন থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে আগে প্রচুর পশুর চামড়া ভারতে পাচার হতো। এবার আমরা সার্বক্ষণিক টহলে আছি।'
একই অবস্থা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তেও। দায়িত্বে থাকা এক বিজিবি সদস্য জানান, 'একসময় এই রুটটি ছিল চামড়া পাচারের নিরাপদ পথ। এবারও সিন্ডিকেট তৎপর হতে চেয়েছে, তবে আমরা প্রস্তুত। আশা করি এবার পাচার রোধ করতে পারব।'
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, পাচারচক্র ঈদের সময় বেশি সক্রিয় থাকে। অনন্তপুর সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, 'এখানে একটি সিন্ডিকেট অনেকদিন ধরে সক্রিয়। বিজিবি এবার তৎপর, তাই পাচারকারীরা আগের মতো সুবিধা করতে পারছে না।'
লালমনিরহাট ১৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, 'চামড়া পাচার ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত। আমি নিজেই মনিটরিং করছি। পশুর চামড়া জাতীয় সম্পদ—এই সম্পদ পাচার হতে দেওয়া হবে না।'
Comments