সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ-মিছিল

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ সংশোধন করে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি ও কার্যকর করার প্রতিবাদে সচিবালয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হচ্ছে।
এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে 'নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন' আখ্যায়িত করে এটি প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া অনুমোদনের মাত্র তিন দিনের মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি ও কার্যকর করা হয়।
এর মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী বিশেষ বিধান অধ্যাদেশ কিছুটা শিথিল হয়ে আবারো ফিরলো।
১৯৭৯ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুই দফায় আট দিনের নোটিশে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১৪ দিনের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
প্রণীত অধ্যাদেশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই অধ্যাদেশ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। গণহারে এই অধ্যাদেশের অধীনে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই, নেওয়া হবেও না।'
Comments