কুড়িগ্রাম

ধরলার স্রোতে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৬ গ্রাম

ছবি: স্টার/ এস দিলীপ রায়

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর পানির প্রবল স্রোতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ৬ গ্রামের মানুষ। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমণ্ডল বিডিআর বাজার এলাকায় ২ কিলোমিটার একটি সড়কের ৩টি স্থান ভাঙনের কবলে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে ওই ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম গোরকমণ্ডল, চর গোরকমণ্ডল, বিডিআর বাজার, আনন্দ বাজার, দক্ষিণ আনন্দ বাজার ও নয়া বাজারের ৩ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াতের চরম কষ্টে পড়েছেন। সড়কের এসব ভাঙা অংশ দিয়ে ধরলা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা সড়কটি দিয়ে বারোমাসি নদীর সেতুর ওপর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে যাতায়াত করেন। ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির ৩টি অংশে প্রায় ৫৫ মিটার ভেঙে গেছে। এতে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

বিডিআর বাজার এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ধরলা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। নদীর পানির সঙ্গে বিপুল পরিমাণে বালু এসে আবাদি জমিতে জমাট বাঁধছে। এ কারণে অনেক আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হতে পারে।'

ছবি: স্টার/ এস দিলীপ রায়

একই গ্রামের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৬টি গ্রামে শতাধিক ইজিবাইক রয়েছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় ইজিবাইক চালাতে পারছি না।'

গোরকমণ্ডল এলাকার চাকরিজীবী আব্দুর রহিম বলেন, `সড়কটি কাঁচা হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে। ৩টি অংশে ভেঙে যাওয়ায় এখন কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকা ধরলা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়েছে।'

ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার বলেন, 'আমি শুক্রবার রাতেই সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি। পানি নেমে গেলে সড়কটি মেরামত করা হবে। আপাতত ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য।'

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী ও ওই গোরকমণ্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মণ্ডল জানান, একদিকে ধরলার পানি বৃদ্ধি, অন্যদিকে তীব্র স্রোতে শুক্রবার দুপুরে ২ কিলোমিটার একটি সড়কের ৩টি স্থান ভাঙনের কবলে পড়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, 'গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য আপাতত সড়কের ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো তৈরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। পানি কমে গেলে সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামত করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago