ভাগাড়সহ কোনো স্থানে ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলসহ কোনো জায়গায় কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না।

ময়লার ভাগাড় ও আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল এলাকা পরিদর্শন শেষে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।

এই ময়লার ভাগাড় মাতুয়াইল থেকে অচিরেই পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দুটি স্টিলমিল বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে।

রিজওয়ানা বলেন, ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসা আলাদা করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যাটারি কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ একটি স্বাস্থ্যঝুঁকির রূপ নিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং নিয়ম ভাঙলে জরিমানার কার্যকর প্রয়োগ করা হবে।

শনিবার উপদেষ্টা পর্যায়ক্রমে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, যাত্রাবাড়ীর সামাদনগর, নরসিংদী রোড, চিটাগং রোড, কাচপুর, যাত্রাবাড়ী, শরীফপাড়াসহ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের বায়ুদূষণ-প্রবণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপদেষ্টা পরিদর্শিত এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উদ্যোগগুলো পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। স্থানীয়রা দূষণের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা জানান।

দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) দ্রুত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে আসছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখানে ময়লা পোড়ানো বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও জোর দাবি তাদের। আজ উপদেষ্টাকে তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। উপদেষ্টা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

পরিদর্শনকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিবেশ) রুবিনা ফেরদৌসী, বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক আরএসএম মুনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Kuet students set fire to symbolic VC chair

The ongoing protests stem from a clash between two student groups on February 18

40m ago