চুক্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও বাতিল করা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জ্বালানি খাতকে টেকসই এবং ব্যয় সাশ্রয়ী ও গুণগত মানসম্পন্ন করতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বুধবার ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ শক্তি সমৃদ্ধি ২০৫০' সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিদ্যমান চুক্তিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও সেগুলো বাতিল করা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই পরিকল্পনা করে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ইআইএ) ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এ লক্ষ্যে সরকারের প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং আইনি কাঠামো গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে জনগণের মতামত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। জ্বালানি খাতের সংশোধিত কর্মপরিকল্পনায় জনগণের মতামত ফলিত হবে।'
উপদেষ্টা বলেন, 'জ্বালানি সাশ্রয়ে ভবনের ডিজাইন যুগোপযোগী করা, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমিতে বৃক্ষরোপণ করাসহ নানা ধরনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।'
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোহাম্মদ তামিম, রহিমআফরোজ রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের (আরআরইএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর সাইনান হাউটন।
Comments