মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি: মাহফুজ আলম

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, 'এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি আমি।'

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

গতরাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। 'তৌহিদি জনতা' প্রসঙ্গে বলা কথায় যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

'জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে' শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, তারা সিদ্ধান্ত যারা নিতেন, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারের (অংশীজন) সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে অন্তত পাঁচ-ছয়টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে এটা আসলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের (মানুষ দল) অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই বৈধ নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতীদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবোটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেনস অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।

মাহফুজ আলম বলেন, 'আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।'

মাহফুজ আলম বলেন, এ ছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তার বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তারা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।

মাহফুজ আলম বলেন, 'আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।'

মাহফুজ আলম বলেন, 'গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টোরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেস দেওয়া যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

38m ago