সাভারে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর, আ. লীগ নেতার বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ

সাভারে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: সংগৃহীত
সাভারে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাভার পৌরসভার মুক্তিরমোড় এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর শুরু করে। এ সময় ম্যুরালের তিন পাশে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির কিছু অংশ হাতুড়ি ও ধাতব বস্তু ব্যবহার করে বিকৃত করে দেয় তারা।

তবে ম্যুরালের মূল অবকাঠামো প্রায় অপরিবর্তিত থেকে যায়।

গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই ম্যুরালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।

সেসময় ম্যুরাল ভাঙচুরের পর অভ্যুত্থানে নিহত সাভারের বাসিন্দা তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মুক্তির মোড়ের নাম বদলে 'তিন শহীদ চত্বর' নাম সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়।

আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটের দাবি। ছবি: সংগৃহীত
আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটের দাবি। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে রাতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকায় আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাগরিক কমিটির পরিচয় দিয়ে মুখে মাস্ক পরিহিত অন্তত ৩০ জন লোক লাঠি ও রড নিয়ে রাত পৌনে দুইটার দিকে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। শুরুতে তারা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে। পরে ভবনের নিচে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। চারতলা বাড়ির দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা এবং বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। পরে এলাকাবাসী মসজিদে মাইকিং করে ভাঙচুর না করার অনুরোধ জানালে তারা চলে যায়।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago