‘কৃষকের খাজনার টাকায় এখন উপদেষ্টারা হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ায়’
'কৃষকের কাছ থেকে তোলা খাজনার টাকায় এখন উপদেষ্টারা হেলিকপ্টারে চড়ে বেড়ায়। কৃষকের খাজনার টাকায় অফিসারদের গাড়ি কিনে দেওয়া হয়, তেল কিনে দেওয়া হয়। ঢাকা শহরে অবকাঠামো নির্মাণ করতে টাকার যোগান আসে কৃষকের দেওয়া খাজনা থেকে।'
আজ রোববার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রপাড়ে শফিউল আলম রাজা স্টেডিয়ামে 'উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের হাট-ঘাটে ইজারা প্রথা বাতিল করতে হবে। যে কৃষকের শ্রমে-ঘামে ফসল উৎপন্ন হয়, সেই কৃষকের জন্য কালো আইন "বীজ বিপণন ও কৃষি বীজ আইন ২০১৮" বাতিল করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার কৃষককে পর্যাপ্ত ভর্তুকি না দিয়ে প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে বিদেশি করপোরেশন বিভাগকে। আর আমার দেশের কৃষককে মাত্র ৫০০ টাকা ঋণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যায়।'
কৃষক মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়াজ রহমান, শিক্ষা ও শিশু সুরক্ষা আইনের (শিশির) আহ্বায়ক রাখাল রাহা ও অর্থনীতিবিদ দিদারুল ভূঁইয়া।
সভাপতিত্ব করেন 'উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ'র আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান নলেজ।
বক্তারা বলেন, দেশ ভাগের পর বিভিন্ন আন্দোলনে কৃষকরা প্রাণ দিলেও সেই কৃষককে কোনো সরকার মর্যাদা দেয়নি। কৃষকের রক্ত চুষে সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিলেও কৃষককে সবসময় বঞ্চিত রেখেছে। এখানকার তাঁতি-জেলে-কৃষক সমাজ মহাজনদের হাতে জিম্মি।
তারা বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। দেশকে বাঁচাতে হলে কৃষকের ১২ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে সংস্কার আইন পরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে। কখনোই কৃষককে বাদ দিয়ে সংস্কার আইন মেনে নেওয়া হবে না। কৃষকের দাবি বাস্তবায়নে 'উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ' হাওর-বাওরসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
কৃষক মহাসমাবেশে ব্রহ্মপুত্রপাড়ের কৃষকসহ বিভিন্ন জেলার কৃষক অংশগ্রহণ করে ১২ দফা দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
Comments