পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ১৭৮ বিডিআর সদস্যের মুক্তিতে বাধা নেই

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ফাইল ছবি

২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্ত ১৭৮ বিডিআর সদস্যের মুক্তিতে বাধা নেই।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর পেশকার শাহাদাত হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত রোববার একই আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

পেশকার শাহাদাত হোসেন বলেন, 'নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্ত ১৭৮ বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না থাকায় বিচারক তাদের জামিনের আদেশ দিয়েছেন।'

'তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকলে, এখন তাদের মুক্তিতে আর বাধা রইল না,' বলেন তিনি।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় একটি মামলা করা হয় পরে একই বছরের ৬ এপ্রিল মামলাটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়।

২০১০ সালের জুলাই মাসে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত ১৫০ বিডিআর সদস্য এবং ২ বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া, ২৫৬ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় যাদের বেশিরভাগই বিডিআর সদস্য। আদালত ২৭৮ জনকে খালাস দিলেও, রাষ্ট্রপক্ষ পরে ৬৯ জনের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে।

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স ও সাজাপ্রাপ্তদের আপিল শুনানি শুরু করে এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেন।

হাইকোর্ট রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেন এবং ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনের তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এছাড়া, ২০০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
 

 

Comments

The Daily Star  | English

Pope Francis dies at 88

He had recently survived a serious bout of double pneumonia.

36m ago