উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ পাস

supreme court
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট আজ মঙ্গলবার জারি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন বিগত সরকারের সময় যে অনাচার হতো, মানবাধিকার লঙ্ঘন হতো, মানুষকে যে দমন-নিপীড়ন করা হতো, সেটার একটা বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল উচ্চ আদালত। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও মানুষ সেখানে প্রতিকার পেত না।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে রাজনৈতিক সরকারগুলো সম্পূর্ণভাবে দলীয় বিবেচনায়, অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য লোকদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিত। উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে যদি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ না পায়, তবে ১৮ কোটি মানুষের মানবাধিকারের প্রশ্নটি অমীমাংসিত ও ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।

'উচ্চ আদালতে দক্ষ, অভিজ্ঞ, দল-নিরপেক্ষ, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক নিয়োগ পাবেন—এমন একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর যাবত ছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন থেকে এই ধরনের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।'

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট জারি হয়েছে। এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আইনটি রচনা করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পাঠানো ড্রাফট, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ড্রাফট, ২০০৮ সালে এরকম একটি অধ্যাদেশ করার প্রক্রিয়া ছিল সেটার কপিসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা এবং আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনার পর এই অধ্যাদেশটি প্রণয়ন হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, সেই কাউন্সিল হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুজন বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেলদের নিয়ে এ কাউন্সিল গঠন করা হবে।

'এ কাউন্সিল প্রথমে যাচাই-বাছাই করবে। তারা নিজ উদ্যোগে নাম সংগ্রহ করবেন। এর বাইরে যেকারো জন্য সুপারিশের সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে। কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর সংশ্লিষ্টদের ইন্টারভিউ নেবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

7h ago