সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ: খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

supreme court
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে রাজস্ব নীতি প্রণয়ন এবং রাজস্ব আহরণে দুটি কার্যক্রম পৃথকীকরণের (Separation of Tax Policy from Tax Administration) প্রস্তাবের পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত অধ্যাদেশের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনও দেওয়া হয়।

রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪)- এ উল্লিখিত বিচারকার্য পালনের স্বাধীনতাকে সুসংহতকরণ, অনুচ্ছেদ ৯৫(১)- এ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ প্রয়োগ এবং অনুচ্ছেদ ৯৪(২)(গ)- এর অধীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়নপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছে।

'আজ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।'

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন প্রসঙ্গে বলা হয়,  'বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাধারণ, কৃষি, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) সংখ্যা ৫৬টি। এই সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ শুধু একটি পরিবারের সদস্যদের নামে করা হয়েছে।'

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রদত্ত কর দ্বারা পরিচালিত হয়। জনগণের অর্থ দ্বারা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নাম একটি পরিবারের মধ্যে সীমিত না রেখে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যে জেলায় অবস্থিত, সে জেলার নাম অনুসারে নামকরণের উদ্দেশ্যে  এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ 'বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কতিপয় আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছে। আজ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে 'বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কতিপয় আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'- এর চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।'

এর আগে গতকাল বিকেলের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনার নাম হবে নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের নাম হবে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়; নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়; মেহেরপুরে অবস্থিত মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়; গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের নাম হবে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি; জামালপুরের অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের নাম হবে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের নাম হবে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের নাম হবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের নাম হবে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina regime silenced media

Chief Adviser's Press Secretary Shafiqul Alam yesterday said steps must be taken to ensure that no one can directly interfere with the media in the future like it was done during the ousted Sheikh Hasina government.

7h ago