‘কর্ম চাই, ভিক্ষা চাই না’ গাজীপুরে বেক্সিমকো শ্রমিকদের গণসমাবেশ

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের শ্রীপুরে সানসিটির মাঠে শ্রমিকদের গণসমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকিং সুবিধাসহ বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সব কারখানা খুলে দেওয়ায় দাবিতে গণসমাবেশ করছেন শ্রমিকরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের শ্রীপুরে সানসিটির মাঠে এ গণসমাবেশ আয়োজন করেন তারা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব সমাবেশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের গণোসমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে শ্রমিকরা এ সমাবেশ করছেন। 

সমাবেশে প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক অংশ নেন। এসময় তারা 'কর্ম চাই, ভিক্ষা চাই না', 'পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই', 'কারখানা খুলে দিন, খুলতে হবে' এমন স্লোগান দেন।

সমাবেশে অংশ নেওয়া বেক্সিমকোর একটি কারখানার শ্রমিক তাছলিমা খাতুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আমাদের অধিকার চাই। চাকরি নেই, আজ নারীরা কোথায় যাবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব ফ্যাক্টরি পুনরায় চালু করার দাবি জানাই এবং নিজেদের কর্মসংস্থান এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ রক্ষার লক্ষ্যে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি।'

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'বেক্সিমকো বন্ধ হতে পারে না। আমরা আমাদের কর্মস্থলে যেতে চাই। আমাদের ৫০ হাজার মানুষের চাকরি নেই। এর সঙ্গে ১০ কোটি মানুষের সম্পৃক্ততা আছে।'

আরেক শ্রমিক আরিফ হোসেন বলেন, 'দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না। আমরা আমাদের যোগ্যতায় চাকরি নিয়েছি। আজ মৃত্যু হবে এখানে, তাও এখান থেকে দাবি আদায় না হলে এখান থেকে যাব না।' 

শ্রমিক নেতা মোশরেফা মিশু বলেন, 'আজ সমাবেশ থেকে কর্মসূচি ষোষণা করব। ৪২ হাজার শ্রমিক সবাই অংশ নেবে। সরকারের কাছে দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারখানা খুলে দিন, ২১ কারখানায় ছাঁটাই চলবে না এবং ৭ তারিখে বেতন দিতে হবে।' 

তিনি বলেন, 'গত ১৪ নভেম্বর রিসিভার বানানো হয়েছে।  বিজিএমইএতে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। রিসিভার কী কাজ করছে? তিন মাসে রিসিভারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি, এগুলো মেনে নিতে হবে।' 

তিনি আরও বলেন, 'মালিক কারাগারে বলে, শ্রমিক হয়রানি হতে পারে। আমি বলেছিলাম, প্রশাসক নিয়োগ দিতে। রিসিভার নাম রাখলেও প্রশাসকের মতো কাজ করতে হবে। রিসিভার রাখতে চাইলে প্রশাসকের মতো কাজ করতে হবে। আমার প্রস্তাব, সরকার এই ২১ পোশাক কারখানাগুলো রাষ্ট্রয়াত্ত করুক।' 

দাবি আদায়ে সরকারকে আগামীকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় দিয়ে তিনি বলেন, সরকার যদি দাবি না মানে তাহলে কাল থেকে কমপ্লিট শাটডাউন। 

শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ দুপুর আড়াইটা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা কারখানা খোলার দাবিতে ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ শুরু করেন।'

জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভায় এই কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

1h ago