সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নেই

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মরা তিস্তা খালের ওপরে নির্মিত সেতু। ছবি: দিলীপ রায়/ স্টার

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বালাটারী গ্রামে মরা তিস্তা খালের ওপরে সেতুর নির্মাণকাজ ২০২২ সালে শেষ হলেও সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রামের মানুষ। কারণ সংযোগ সড়ক ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি।

রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, বালাটারী গ্রামে মরা তিস্তা খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৭৮ লাখ টাকা খরচে ৩০ মিটার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে। কুড়িগ্রামের মেসার্স শীতল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মোকছেদুল হকের সঙ্গে এ চুক্তি হয়। মূল ঠিকাদার কাজটির জন্য স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুজ্জামান রাকিবকে সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেন। সময়মতো কাজটি শেষ না হওয়ায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবুও কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই সময়ে মূল সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন হলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ও নাজিমখান ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ মরা তিস্তা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহার করবেন। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তারা সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না। এ কারণে তাদেরকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতা সেতুটি নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে তখন কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও ছিলেন নীরব।

কাজটির মূল ঠিকাদার মোকছেদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব দ্রুতই সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।

সাব ঠিকাদার স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুজ্জামান রাকিব পলাতক আছেন।

রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঠিকাদারকে এখনো সম্পুর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। এই মাসে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজের মান নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago