দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ আসলে কী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
জাতীয় সংসদ ভবন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়ছে, সংসদের নিম্নকক্ষের পাশাপাশি একটি উচ্চকক্ষও থাকবে। নিম্নকক্ষের সদস্য থাকবেন ৪০০ জন। প্রচলিত পদ্ধতিতে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। আর উচ্চকক্ষে আসন থাকবে ১০৫টি। নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে। অর্থাৎ নিম্নকক্ষে বিভিন্ন দলের যেমন আসন থাকবে সেই অনুপাতে দলগুলো উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনিত করতে পারবে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের আইনসভা এককক্ষবিশিষ্ট। অর্থাৎ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কোনো প্রস্তাব বা বিল পাস হলে তা আর কোথাও আলোচনা বা অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই কক্ষের সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের বেশি সুযোগ থাকবে। এতে করে ক্ষমতার আরও ভালো ভারসাম্য নিশ্চিত হবে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অংশীজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে।

তবে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অসুবিধাও রয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গতি ধীর হয়ে যেতে পারে। কারণ যেকোনো বিল পাস করার জন্য সংসদের দুই কক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হবে। একজন অনির্বাচিত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত উচ্চকক্ষের সদস্য নিম্নকক্ষের সদস্যদের মতো জবাবদিহি নাও করতে পারেন। এছাড়া সংসদ পরিচালনার খরচও বাড়বে এতে।

বর্তমানে, বাংলাদেশে ৩৫০টি আসনবিশিষ্ট এক কক্ষের সংসদ রয়েছে, যার মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ গতকাল ডেইলি স্টারকে জানান, তারা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন, যেখানে নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যা ৪০০ এবং প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের জন্য আরও ১০৫টি আসন থাকবে।

তিনি জানান, নিম্নকক্ষের ৪০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। সংরক্ষিত আসনের সদস্যরাও সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। উচ্চকক্ষের সদস্যদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ করা হবে।

উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিধান থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ১০০ জন উচ্চকক্ষ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি অরাজনৈতিক নাগরিকদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে মনোনীত করতে পারবেন।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ সংস্কার সংলাপ: সূচনা সূত্র বই থেকে জানা যায়, বিশ্বে ১৯২টি দেশের মধ্যে ৮৭টিতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও নেপালে এই ব্যবস্থা রয়েছে।

(সংক্ষেপিত, বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

2h ago