বিজিবি দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং অনাড়ম্বরভাবে সীমিত পরিসরে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪' উদযাপিত হয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আজ বিজিবিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিজিবি থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বিজিবি সদর দপ্তরে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করেন এবং সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পিলখানাস্থ 'সীমান্ত গৌরব'-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবিতে বিগত বছরে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা বা উত্তরাধিকার ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজিবিতে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদকপ্রাপ্ত ৩৩ জনকে পদক পরিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক-সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-সেবাসহ (পিবিজিএমএস) সর্বমোট ৭২ জন বিজিবি সদস্যকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. নাসিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পদক প্রদান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী, তিন বাহিনী প্রধান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর বিজিবি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দেশের স্বনামধন্য জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয় এবং জুম্মার নামাজের পর বিজিবির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে পিলখানা ছাড়াও বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, বিশেষ দোয়া ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
Comments