বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় মুক্তিযোদ্ধাদের দল, থাকবেন মমতাও

কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। ছবি: সংগৃহীত

বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে পৌঁছিয়েছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম নিউজ ১৮।

এ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের মতো ভারতেও ১৬ ডিসেম্বরকে 'বিজয় দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিকে ভারত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশর আত্মপ্রকাশের স্মারক দিবস হিসেবে বিবেচনা করে।

প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।

২০২২ সালের অনুষ্ঠানে ২৯ মুক্তিযোদ্ধা ও ছয় জন সেনা কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন।

বিজয় দিবস উদযাপনে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সামরিক চিহ্ন এঁকে দেওয়া এবং কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে।

এর আগে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের এ বছরের অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও জানা গেছে, অন্তত আট জন মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন।

সোমবার ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিক্রম মিশ্রি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বৈঠক করেন।

কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগে ঢাকায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।

ভারতীয় গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদন মতে, চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

এই বৈঠকের পরই ১২ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উযদাপনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The honeymoon period of the interim government is over

What started as a moment of hope—a chance to break free from the chains of authoritarian rule—has increasingly turned into a struggle for meaningful reform.

1d ago