সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবসের র‍্যালিতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

আজ সকালে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবসের র‍্যালিতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করার সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন—আজহারুলের অনুসারী যুবদলকর্মী মো. রতন, মামুন মোল্লা, রনি মোল্লা, মোবারক মোল্লা, রিফাত মোল্লা, মো. ভুবন এবং রেজাউলের অনুসারী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নূর ই ইয়াসিন, যুবদল নেতা আতাউর রহমান, হাবিবুর রহমান, যুবদল কর্মী শাহ পরান ও শাহ আলম।

আহত যুবদল কর্মী মো. রতন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুসারীদের নিয়ে জড়ো হন আজহারুল ইসলাম মান্নান। এরপর অনুসারীদের নিয়ে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে যান রেজাউল করিম। 

সেসময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেজাউলের অনুসারীরা ফ্যাসিবাদের দালালদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এলে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেয়। এ কারণে যুবদল নেতা নূর ই ইয়াসিনের নেতৃত্বে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।'

এ অভিযোগ অস্বীকার করে নূর ই ইয়াসিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেখানে থাকা আজহারুল ইসলাম মান্নানের লোকজন আমাদের কটূক্তি করে স্লোগান দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। তারাই বিষয়টিকে উসকে দিয়েছে।'

জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরোনো বিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। পরে শুনেছি এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

11h ago