আশুলিয়ায় অন্তত ২৯ পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

ফাইল ফটো

সরকারঘোষিত বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট চার শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তা ১৫ শতাংশ করার দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

শ্রমিকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতির কারণে আজ বৃহস্পতিবারও আশুলিয়ার অন্তত ২৯টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের জেরে আশুলিয়ায় আজ মোট ২৯টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় 'নো ওয়ার্ক, নো পের' ভিত্তিতে বন্ধ রয়েছে আটটি কারখানা, স্ব-বেতনে ছুটি রয়েছে আটটি কারখানা এবং কাজ না করে শ্রমিকরা চলে গেছে বা কাজ বন্ধ করে বসে আছে এমন কারখানার সংখ্যা ১৩টি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ শিল্পাঞ্চলে ১৩টি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর মধ্যে ১০টি কারখানা কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া গতকাল বন্ধ ঘোষণা করা ১১টি কারখানা।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। শ্রমিকরা কিছু কিছু কারখানায় এমনিতে ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পায়। মজুরি বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বাড়ালে বাস্তবসম্মত হবে। সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago