বকেয়ার দাবিতে ২ বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ
বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা ইপিজেডের সামনে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দাবি আদায়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর তিনটায় এই প্রতিবেদনে লেখার সময় শ্রমিকরা সড়কটি অবরোধ করে রেখেছিলেন।
শ্রমিকদের অবরোধের কারণে রাস্তার দুই পাশে হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চার বছর আগে কারখানা বন্ধ হলেও শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। বারবার তারিখ দিয়েও কথা রাখছে না বেপজা কর্তৃপক্ষ।
পাওনা পরিশোধ না হলে সড়ক থেকে তারা যাবেন না বলেও জানান।
লেনী অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিক মো. ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক মাসের বেতনসহ অন্যান্য পাওনা ও সার্ভিস বেনিফিট মিলিয়ে ৪৪ হাজার টাকা পাওনা আছে। এক টাকাও পাইনি। আগামী ৩০ তারিখে শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকদের ধারণা ওই তারিখেও তাদের টাকা দেওয়া হবে না। এ কারণে সকাল আমরা সড়ক অবরোধ করে আছি।'
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে বলেন, 'কারখানাটির শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা আছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করেন। তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেপজা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত চারবার তারিখ দিয়েছে। কিন্তু পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি। শ্রমিকরা এখনো রাস্তায় আছে। আমরা বুঝিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।'
বেপজার নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) আনোয়ার পারভেজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লেনী ফ্যাশন ও লেনী অ্যাপারেলস কারখানা একই মালিকের। শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। লেনী আ্যপারেলস ইতোমধ্যে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। তবে লেনী ফ্যাশন বিক্রির জন্য পাঁচবার নিলামের ব্যবস্থা করা হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাওয়া না যাওয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। চেষ্টা চলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু প্রতিষ্ঠান দুইটি একই মালিকের, তাই শ্রমিকদের বকেয়া একসঙ্গে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনি জটিলতা থাকায় এক কারখানা বিক্রির টাকা অন্য কারখানার শ্রমিকদের দেওয়ার সুযোগ নেই। দ্রুত অপর কারখানাটি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশা করি, সবার বকেয়া পরিশোধ সম্ভব হবে।'
Comments