গণঅভ্যুত্থানে শহীদ প্রতিটি পরিবারের কাছে আইজিপির ক্ষমা প্রার্থনা

বাহারুল আলম
আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: স্টার

'রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যেন পুলিশ ব্যবহৃত না হয়, এটা পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেকের দাবি,' বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। 

আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে। এটাই এক নম্বর দাবি। এই উদ্যোগ পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়েছেন। আমার বিশ্বাস এই সরকারের পক্ষেই এটা করা সম্ভব।

এসময় তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, 'আন্দোলনে ছাত্র-শিশু-কিশোর সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। এছাড়া কর্তব্য পালন করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের সবার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়েছেন দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে ফ্যাসিবাদি সরকারের স্বার্থ রক্ষায় তাদের নির্দেশে পুলিশের কতিপয় সদস্য বাড়াবাড়ি করেছেন এবং আইন ভঙ্গ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অনেক নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই নিন্দনীয়। আমি পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ এক বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তিনি বলেন ধীরে ধীরে সবার সহযোগিতায় গতিশীলতা ফিরছে।

আইজিপি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যের কোনো ধরনের দুর্নীতি, অসদাচরণ বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভুত অনেক ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। কোনো কোনো মামলায় আসামির সংখ্যা অনেক। যার মধ্যে অনেক নিরীহ লোকজন রয়েছে, এটা আমরা দেখেছি। দুঃখজনক হচ্ছে এগুলোকে কেন্দ্র করে অনেকে বাণিজ্য করছে। সমাজের তারাও প্রভাবশালী লোক। নিরীহ লোক যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের নানা প্রলোভন দেখাচ্ছে, প্রতারিত করছে, টাকা নিচ্ছে।

এই ধরনের প্রতারণায় প্রতারিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান আইজিপি।

তিনি বলেন, 'আপনার যদি কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা না থাকে সরাসরি পুলিশের কাছে আসুন। বিনাতদন্তে পাইকারি হারে কাউকে গ্রেপ্তার করব না। নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করতে হবে এটা আইনেও নাই। যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে কেউ এই ঘটনায় জড়িত অপরাধী। নয়তো একজন পুলিশ অফিসারের আইন অনুযায়ী এই ধরনের গ্রেপ্তার করার কথা নয়।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের পুলিশের শৃঙ্খলা আনতে সময় লাগবে। এর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago