সংস্কারের আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদ জাতীয় নাগরিক কমিটির
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান এবং যে আইনের অধীনে এই কমিশন গঠিত হয়েছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ রোববার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, '২০২২ সালে তৎকালীন অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের একটি আইন প্রণয়ন করেছিল যা "প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন-২০২২'' হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী সরকারের ওই আইন তখন বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল।'
'বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ওই আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠন করে। অথচ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ওই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো,' যোগ করেন সামান্তা।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই 'রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে' নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। এটি গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকারের সঙ্গে 'বিশ্বাসঘাতকতার শামিল' বলে আখ্যা দেন।
আজ দুপুরে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
Comments