শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে এইচ ডি এফ এ্যাপারেলস লিমিটেডের পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে জৈনা বাজার কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে কারখানার শ্রমিকরা।

এইচ ডি এফ অ্যাপারেলস লিমিটেডের পোশাক কারখানার দুই শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনাবাজার এলাকায় এইচ ডি এফ কারখানার পাশে সড়কে শ্রমিকেরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশকে শ্রমিকের উদ্দেশ্য বলতে শোনা যায়, আপনাদের আন্দোলনে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি না। তবে আপনাদেরকে আর‌ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা মালিকপক্ষের সাথে কথা বলব। আপনাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। 

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে না কেন? আমরা কি অপরাধ করেছি। আমাদেরকে আজকের মধ্যেই বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে। আপনারাও জানেন বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি। কারখানায় কর্তৃপক্ষ বেতন না দিলে আমাদের চলার কোনো উপায় নেই।

এদিকে, শ্রমিকরা কারখানায় কাজে না গিয়ে সড়কে অবস্থান করলেও কারখানার মালিক বা ম্যানেজার কাউকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক রায়হান মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান,  শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পাবে। এখনো অক্টোবর মাসের বেতন পায়নি। বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা সড়কে আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, শিল্প পুলিশের উপ পরিদর্শক আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

এদিকে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকায় পি এন  কম্পোজিট লিমিটেডের সব ধরনের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কর্তৃপক্ষ এক নোটিশে জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী কারখানা স্থিতিশীল হওয়া পর্যন্ত শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পি.এন. কম্পোজিট লিমিটেডের গার্মেন্টস ডিভিশন, প্রিন্টিং এবং এমব্রয়ডারি সেকশনের উৎপাদন কার্যক্রম আজ থেকে বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এই সিদ্ধান্তের পর শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসদাচরণ।

কোনাবাড়ী জোন শিল্প পুলিশের এস আই রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত বলে জানান।

Comments