হংকংগামী ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু
হংকংগামী ফ্লাইটে এক ৪৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিককে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় । পরবর্তীতে হংকং বিমানবন্দরে অবতরণের পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা থেকে রওনা হওয়া ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটেছে।
মৃত নাজমুল ইসলাম (৪৭) হংকং হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা করছিলেন। ফ্লাইটে তার সঙ্গে পরিচিত কেউ ছিল না। দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য জানিয়েছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
উড়োজাহাজসংস্থা ইতোমধ্যে মৃতের পরিবার-পরিজনকে বিষয়টি জানিয়েছে। এ বিষয়ে হংকংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশন সহায়তা দিচ্ছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল আটটার অল্প সময় পর স্থানীয় পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়।
পুলিশের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে হংকং এর উদ্দেশে রওনা হওয়া সিএক্স৬৬২ ফ্লাইটে এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়েন।
চিকিৎসকরা উড়োজাহাজের ভেতরেই ঐ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় রওনা হয়ে বুধবার ৭টা বেজে ৪৯ মিনিটে হংকং পৌঁছায়।
ক্যাথে প্যাসিফিক পরবর্তীতে জানায়, হংকং বিমানবন্দরে অবতরণের আগে প্রি ল্যান্ডিং চেকের অংশ হিসেবে যাত্রীদের খোঁজ নেওয়ার সময় যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
উড়োজাহাজ সংস্থাটি জানিয়েছে, যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।
'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ঐ যাত্রী ততক্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীর শোকে নিমজ্জিত হয়েছি এবং মৃত যাত্রীর পরিবারের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শোক জানাচ্ছি', যোগ করে ক্যাথে প্যাসিফিক।
হংকং কলেজ অব ইমারজেন্সি মেডিসিন কাউন্সিলের সদস্য ড. ইয়াং সিউ মিং বলেন, যারা শ্বাসযন্ত্র বা হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত, তাদের উড়োজাহাজে ওঠার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, যারা সম্প্রতি চোখ বা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেছেন, অথবা সমুদ্রে ডাইভিং করেছেন, তাদেরকে ফ্লাইটে ওঠার আগে কিছুদিন অপেক্ষা করারও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ইকোনমি ক্লাস সিন্ড্রোম' থেকে বাঁচার জন্য দীর্ঘ ফ্লাইটে প্রতি এক-দুই ঘণ্টা পর যাত্রীদের আসন থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করা উচিত।
ফ্লাইট চলাকালীন দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে রক্ত জমাট বেঁধে এই সমস্যায় ভুগতে পারেন যাত্রীরা।
Comments