চুয়াডাঙ্গা: ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে অচলপ্রায় জনজীবন, ফল-ফসলের ক্ষতি

লণ্ডভণ্ড কলাবাগান। ছবি: জহির রায়হান সোহাগ/স্টার

তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। আজ সোমবার সকাল থেকেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে দমকা বাতাস বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়াকে আরও শীতল করে তুলেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। তবে আজ আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

এদিন চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকাগুলো প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলো। বৃষ্টিতে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।

পানিতে নুয়ে পড়েছে ধানের খেত। ছবি: জহির রায়হান সোহাগ/স্টার

শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক আবু ছদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'তিনদিন থেকি একটানা পানি হচ্চি। বাতাসও হচ্চি। পানির কারণে মানুষ বাইরি বের হচ্চি না। সকাল থেকি কুনু ভাড়া পাচ্চিনি।'

এদিকে টানা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফসলের মাঠ। পানিতে তলিয়ে গেছে ধানের খেত। কলা, পেঁপে, পান, শীমসহ উঠতি ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। ছবি: জহির রায়হান সোহাগ/স্টার

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, 'পানির আর দমকা বাতাসে মাটে আমার যা ছিল সব শেষ হয়ি গিয়িচে। আমার ধান ও কলার ভুঁই ডুবি গিয়িচে। যা খরচ করিছিলাম তা আর উটবি না।'

ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত তিন দিনের প্রতিকূল আবহাওয়ায় ধান, পেঁপে, কলা, পান ও গ্রীষ্মকালীন সবজিসহ মৌসুমি আটটি ফসলের পাঁচ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। মোট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে কাজ চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank to intervene in forex market to curb volatility

The move was announced in BB’s latest monetary policy statement for the first half of FY26

22m ago