বগুড়ায় অবরুদ্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাহিন, ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার

সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাহিনকে উদ্ধার করেন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে চত্বরে ছাত্র-নাগরিকের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। 

কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কর্মসূচিতে বাধা দেয় এবং মাহিন সরকার ও তার দলকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে সন্ধ্যা ৬টার পর সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন মাহিন।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে চত্বরে একদল শিক্ষার্থীর বাধায় ছাত্র-নাগরিকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহিন সরকার ও তার দল বগুড়া পৌঁছে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।

পরে তারা আজিজুল হক কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রায় ২০০-৩০০ জন মাহিন ও তার দলকে ধাওয়া দেয়। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে চেনে। 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান দিয়ে তারা মাহিনকে কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়তে ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেয়।

নিরাপত্তার জন্য মাহিন ও তার দল তখন কলেজের প্রশাসনিক ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কলেজ চত্বরে আসে। 

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সেনাসদস্যরা মাহিন ও অন্যদের নিয়ে যান।
 
এ বিষয়ে মাহিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক আমাদের প্রোগ্রামে বাধা দেয়। তাদের অভিযোগ আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই বগুড়া গিয়েছি। তারা আমাকে মানতে চায় না।'

'তারা সারজিস আলম ও হাসনাতকে দেখতে চায়। আমি তাদের সারজিস ও হাসনাতের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু তাতেও তারা রাজি হয়নি,' বলেন তিনি।

মাহিন আরও বলেন, 'কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের নিশ্চিত করেছে যে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী না। স্থানীয় জামাতের এক নেতার লোকজন। তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল আমাদের প্রোগ্রাম করতে দেবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Jubo Dal leader dies in custody after 'jt forces picked him up'

The body of Touhidul Islam, 42, bore marks of trauma and injuries from his waist to the knees, family members said, alleging that he was tortured to death

14m ago