আনসারদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি মেনে নেওয়া কঠিন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: ফাইল ফটো

আনসার বাহিনীর চাকরি জাতীয়করণের দাবি বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থিক সক্ষমতায় মেনে নেওয়া কঠিন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

এ সময় তারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। 

বৈঠকে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তাসহ চলমান পুলিশ সংস্কারেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।'

এ সময় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, 'আমেরিকান দূতাবাসসহ দূতাবাস পাড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি জনকল্যাণের অংশ হিসেবে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা বাহিনীর সংস্কার জরুরি।' 

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আনসারদের সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আনসাররা তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করছিল। বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থিক সক্ষমতায় এ দাবি মেনে নেওয়া দুরূহ।'

'তবে সমস্যার সমাধান হয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তিন বছর পরপর আনসাররা যে ছয় মাসের জন্য বিশ্রামে যেত, আমরা তা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে তাদের বিশ্রামে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না এবং ওই সময়ে তারা বেতন-ভাতাদি পাবেন।'

উপদেষ্টা চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এ সময় কৃষি পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বীজ, সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের চাহিদার কথা জানান। 

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তার স্বার্থে রেডি ফ্রিকোয়েন্সিতে প্রবেশগম্যতার বিষয়টি উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন। উপদেষ্টা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago