জোর করে গণভবনে নেওয়া হয়েছিল, জানালেন আবু সাঈদের ভাই

পুলিশের ছোড়া গুলির সামনে দাঁড়ানো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের রাবার বুলেটে নিহত হন সাঈদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে জোর জবরদস্তি করে গণভবনে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তার ভাই রমজান আলী।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজ রংপুরে আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে আবু সাঈদের ভাই সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

রমজান আলী বলেন, ড. ইউনূস আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আমাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ২৮ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা। আন্দোলনে নিহত আরও কয়েকজনের পরিবারের সদস্যকে সেদিন গণভবনে আনা হয়।

আজ শনিবার সকালে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস।

পরে রমজান আলী বলেন, শেখ হাসিনা জোর-জবরদস্তি করে ডেকে নিয়ে গেছে, আর ইনি (দায়িত্বে) আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাসায় আসছেন। এটাতো আমাদের সৌভাগ্য।

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ছেলের নামে সরকারি হাসপাতাল চেয়েছি, যাতে মানুষ বিনা মূল্যে ওষুধ পায়। রাস্তা, কলেজের নামকরণ করতে বলছি। ছেলের হত্যার বিচার চাইছি। উনি সব করবেন বলে কথা দিছেন। শুধু আজ না, সব সময় পাশে থাকবেন। উনি অনেক ভালো মানুষ।

আবু সাঈদের বোন সুমি আক্তার বলেন, 'আমার ভাইকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাইছি। এর পেছনে যারা আছে, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের ফাঁসি চাইছি। আমার ভাইয়ের মতো যারা আন্দোলনে মারা গেছে, তারা যেন ন্যায্য বিচার পায়।

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ১৭ জুলাই বাবনপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে। আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হয়।

Comments

The Daily Star  | English

What are the factors leading to labour migration from Bangladesh?

A father of one, Fahimuzzaman said that his income in Bangladesh did not allow him to build any savings

1h ago