ড. ইউনূস আমাদের সুন্দর একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাবেন: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের সুন্দর একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

আজ বুধবার বিকেলে সেনাসদরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, 'কিছুক্ষণ আগে আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনার সঙ্গে কথা বলে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি এই কাজটা (উপদেষ্টা) করতে অত্যন্ত আগ্রহী। আমি নিশ্চিত তিনি আমাদের সুন্দর একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন এবং এ কাজে আমরা উপকৃত হব।'

তিনি বলেন, 'আমি দেখছি শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা খুব ভালো কাজ করছে। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল না, তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন, রাস্তা পরিষ্কার করছেন, যেসব স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, সেগুলো পরিষ্কার করছেন। আমি তাদের অনুরোধ করব তারা যেন এই ভালো কাজ চালিয়ে যায়।'

'বিভিন্ন জায়গায় লুটতরাজ হচ্ছে' উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, 'এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি। তারা সেই কাজ করছেন। আমি নিশ্চিত আমরা সবাই মিলে সুন্দর-স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাব।'

'আমরা অনেক আলোচনা করে ড. ইউনূসকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা করে আমরা সর্বসম্মতভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। তিনি রাজি হয়েছেন। আগামীকাল ড. ইউনূস দেশে আসবেন। আমরা উনাকে রিসিভ করব। আমি আশা করি উনি সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা পাবেন। আমি নিশ্চিত যে উনি সফলভাবে উনার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন,' যোগ করেন তিনি।

জেনারেল ওয়াকার বলেন, 'অনেক ধরনের গুজব চলছে। জনগণকে আহ্বান করব তারা যেন গুজবে কান না দেয়। আমরা চমৎকার পরিবেশে সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেনানিবাসে বিভিন্ন কিছু হচ্ছে এমন গুজব চলছে। এগুলোতে কান দেবেন না এবং এগুলো ছড়াতে সাহায্য করবেন না।'

পরিস্থিতি অনেক শান্ত হয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'পুলিশ এখন ডিউটিতে নাই। পুলিশে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনীর স্ট্রেংথ দিয়ে এটা পূরণ করা সম্ভব না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক পুলিশ, সরকারি কর্মচারিদের আমরা রেসকিউ করেছি। বিমানবন্দর, ডিপলোম্যাটিক এরিয়া, সচিবালয়, বিচারকদের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আমরা নিরাপত্তা দিচ্ছি। আমরা টহল দিচ্ছি। তারপরও কিছু জায়গায় হামলা হয়েছে। আমরা এতে দুঃখিত ও বিব্রত।'

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধানের বলেন, 'আগামীকাল উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেল বেলায়। কিন্তু বিকেলে খুব টাইট হয়ে যেতে পারে। ড. ইউনূস হয়ত ২টা ১০ মিনিটে দেশে পৌঁছাবেন। আমরা হয়ত তাহলে রাত ৮টার দিকে শপথ করতে পারি।'  


 

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

14h ago