আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ, বিএসএমএমইউতে ভাঙচুর-আগুন

বিএসএমএমইউতে ভাঙচুর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চত্বরে গাড়িতে আগুন। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চত্বরে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় অ্যাম্বুল্যান্স, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারের ফটোসাংবাদিক আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে বলেন, 'সকাল ১১টার দিকে এক দল লাঠিধারী বিএসএমএমইউ'র পেছনের গেট দিয়ে চত্বরে আসে। সেখানে তারা আচমকা হামলা চালিয়ে ১০-১৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।'

'এছাড়াও, তারা দুই-তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স পুড়িয়ে দেয়। মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বহন করা গাড়ির পাশাপাশি চত্বরে থাকা ব্যক্তিগত গাড়িও পুড়িয়ে দিয়ে পেছনের গেট দিয়েই পালিয়ে যায়।'

হামলাকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, 'হামলাকারীদের দেখে মনে হয়েছে তারা সরকার সমর্থক।'

বিএসএমএমইউতে ভাঙচুর
শাহবাগে বিএসএমএমইউ চত্বরে পোড়া গাড়ির ধোয়া। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের নিজস্ব সংবাদদাতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'হাসপাতালের ভেতর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেছি। হাসপাতালের ভিতরে থেমে থেমে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে।'

আমাদের সংবাদদাতা সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, 'শুরুর দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২টার দিকে আমি হাসপাতাল ঢুকি। তখন হাসপাতালের গেটে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছিল। ভেতরে অবস্থান করছিল ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ। তাদের হাতে ছিল রড ও হস্টিস্টিক। তারা মুখোশ পরা ছিল। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, ওরা সরকার সমর্থক। গাড়িতে ওরাই আগুন দিয়েছে।'

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী তরিকুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমগ্র শাহবাগে আমরা অবস্থান করছি। ছাত্রলীগ হামলা করতে এসেছিল। আমাদের প্রতিরোধে তারা বিএসএমএমইউতে ভেতরে ঢুকে গেছে। ভেতরে আগুন ওরাই দিয়েছে। ভবনের ছাদে উঠেও আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago