টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মধ্যরাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আলী আকবর খান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, 'সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি ঝরছে।'
টানা বৃষ্টিতে নগরীর কোথাও কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি জমে গেছে।
আলী আকবর আরও বলেন, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নগরীর ২৬টি পাহাড়ের ঢালে মোট ছয় হাজার ৫৫৮টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুষলধারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকবাজার, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, শুলকবাহার, হালিশহর, চান্দগাঁও, কাটালগঞ্জসহ নিম্নাঞ্চল হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিন সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে জলাবদ্ধতার কারণে জিইসি মোড়ে আটকা পড়েন বেসরকারি চাকরিজীবী রাশেদ ইকবাল।
'জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে যান চলাচল খুবই কম। আমি আধাঘণ্টা ধরে যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে আছি,' সকালে ডেইলি স্টারকে বলেন তিনি।
কেবি আমান আলী রোডের দুই পাশের ড্রেনের উপচে পড়া নোংরা পানি ভেঙে হাঁটতে দেখা যায় মিনা দাসকে। তিনি বলেন, 'আমি হাসপাতালে আমার শাশুড়িকে দেখতে যাচ্ছি। রাস্তায় কোনো খালি রিকশা পাইনি, তাই রাস্তার নোংরা পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।'
Comments