আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি, ১১৪ নাগরিকের বিবৃতি

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তোলা ছবি। ছবি: মুনতাকিম সাদ/ স্টার

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি জানিয়েছে ১১৪ নাগরিক। চলমান ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি দাবি জানান তারা।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন জানাই। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা প্রতিরোধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।

তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে গতকাল এবং আজ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পিস্তল, রড, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি। এই বর্বরোচিত হামলায় আমরা ক্ষুব্ধ ও বেদনার্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, হত্যাকাণ্ড এবং শত শত শিক্ষার্থীকে আহত করা দেশের প্রচলিত আইনে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় তাদের উপর আবারো হামলা চালানো হয়েছে, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। আমরা এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাই। সেই সাথে এসব হামলার হুকুমের আসামি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।

বিবৃতিদাতারা হলেন—

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক স্বপন আদনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, ড. আসিফ নজরুল, ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনু মুহাম্মদ, মাহা মির্জা, আইনুন নাহার, মানস চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, নিউইউর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিনা সিদ্দিকী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, মানবাধিকার কর্মী শিরিন হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, রেজাউর রহমান লেলিন, আইনজীবী তবারক হোসেইন, ডা. নায়লা জেড খান, আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী রাণী ইয়েন ইয়েন, সাংবাদিক কামাল আহমেদ, আইনজীবী ও গবেষক রুহী নাজ, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বুলবুল আশরাফ। আশফাক নিপুন, নির্মাতা, আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক, রায়হান রাইন, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, আফসানা বেগম, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট, মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক, হামীম কামরুল হক, কথাসাহিত্যিক, সালেহীন শিপ্রা, কবি, কথাসাহিত্যিক ও সমালোচক, সায়েমা খাতুন, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক নৃবিজ্ঞানী, অধ্যাপক আ-আল মামুন, সাখায়াত টিপু, কাজল শাহনেওয়াজ, অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মনসুর তমাল, শিক্ষক আর রাজী, আবুল কালাম আল আজাদ, অমল আকাশ, মুহাম্মদ কাইউম, হামিম কামরুল হক, কল্লোল মোস্তফা, ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, রাখাল রাহা, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, মো. শাহজালাল, মোহাম্মদ আজম, জাকির তালুকদার, বায়েজিদ বোস্তামী, ফেরদৌস আরা রুমী, সাঈদ জুবেরী, সারোয়ার তুষার, জিয়া হাশান। ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা, লুৎফুল্লাহিল মজিদ, অস্ট্রিক আর্যু, ড. স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, দীপক রায়, তাসনুভা অরিন, মাহাবুব রাহমান, গাজী তানজিয়া, মজনু শাহ, খোকন দাস, মোহাম্মদ রোমেল, লতিফুল ইসলাম শিবলী, ইসমাইল হোসেন, তুহিন খান, সারোয়ার তুষার, সহুল আহমদ, পারভেজ আলম, দিলশানা পারুল, এহসান মাহমুদ, সাইয়েদ জামিল, সৈয়দ নাজমুস সাকিব, রুম্মানা জান্নাত, মিছিল খন্দকার, কাউকাব সাদী, জি এইচ হাবীব, ইমরুল হাসান, আবু বকর সিদ্দিক রাজু, তামান্না আজিজ তুলি, রাসেল রায়হান, রুহুল মাহফুজ জয়, মারুফ মল্লিক, চঞ্চল বাশার, কবি, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মো. শাহজালাল, ওমর তারেক চৌধুরী, অ্যাক্টিভিস্ট, আব্দুল হালিম চঞ্চল, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, ফেরদৌস আরা রুমী। তানিয়াহ মাহমুদা তিন্নী, মফিজুর রহমান লাল্টু, বাকি বিল্লাহ, সীমা দত্ত, রহমান মুফিজ, সাধনা মহল, ফেরদৌস আরা রুমী, শোয়েব আব্দুল্লাহ, রেদওয়ান আহমেদ, মোস্তফা জামান, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, শারমিন খান, মারজিয়া প্রভা, মোশফেক আরা শিমুল, ড. মোবাশ্বার হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

IMF sets new loan conditions

Bangladesh must clear dues, hit steep revenue, reserve targets for next tranche

7h ago