৬ মাস জলাবদ্ধ থাকে স্কুলের মাঠ, খেলা বন্ধ

শেরপুরের খাটুয়া কুমরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা। ছবি: স্টার

স্কুলের পুরো মাঠে পানি থৈ থৈ। প্রথম দেখায় পুকুর বলে বিভ্রম হয়। এই পরিস্থিতি থাকে বছরের ছয় মাস। এ সময় শিশুরা এখানে খেলতে পারে না।

এই মাঠ শেরপুরের খাটুয়া কুমরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই শ। জলাবদ্ধ থাকায় মাঠ এড়িয়ে চলাচল করতে হয় তাদের।

শেরপুর সদর উপজেলায় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। ভালো ফলাফলের জন্য স্কুলটির সুনাম রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, স্কুলটি মাঠের তুলনায় আশপাশের জমির উচ্চতা বেশি। এ কারণে মাঠে পানি জমে থাকে। বদ্ধ পানিতে মশা প্রজনন করে। ক্লাস চলাকালে মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিতে পারে না। অনেকেই পানিবাহিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে।

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাঠে খেলাধুলা করতে না পারায় এই স্কুলের শিশুরা সহশিক্ষা কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে। আশপাশের স্কুলের শিশুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলের মাঠে খেলতে না পারায় পাশের ফসলি জমিতে গিয়ে খেলতে হয় তাদের। যখন ক্লাস থাকে না তখন অনেকেই ক্লাসরুমেও খেলে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বলেন, 'মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের সবসময় ক্লাসরুমেই রাখি। এতে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।'

তিনি আরও জানান, একটি ড্রেন খনন করে পানি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আশপাশের জমির মালিকেরা বাধা দেওয়ায় এটা সম্ভব হয়নি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি গত ৬ জুন শেরপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছন বলে জানান।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে দরখাস্ত পেয়েছি। শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

49m ago