অস্ত্রসহ ৮৮ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

শনিবার টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
পাঁচটি নৌকায় বিজিপি সদস্যরা নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। নৌকাগুলো আটক করেছে কোস্টগার্ড। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৮৮ সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

পাঁচটি নৌকায় আজ রোববার সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদী পার হয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। 

সকাল ১১টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের কাঞ্চন জেটি দিয়ে ওই বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ৩টি বোট তখন টহল দিচ্ছিল সেখানে। ওই ৮৮ বিজিপি সদস্য অস্ত্রসহ তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

পরে তাদের খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়।

পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের রামুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, রাখাইনের মংডুর কায়ুনখালী খাল এলাকার সীমান্তের কেওড়া বাগানে প্রায় ২০০ বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তাদেরও যেকোনো সময় বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা আছে। 

গতকাল শনিবার টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এর মধ্যে, আচার বুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ বিজিপি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে নাজিরপাড়া দিয়ে আরও ৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জানতে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মোট ৬১৮ মিয়ানমারের নাগরিককে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ এপ্রিল দুই দফায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

Comments