ভূমি ধসে বাঘাইছড়ি বিচ্ছিন্ন, ঝড়ের পরে বিদ্যুৎহীন লামা-আলীকদম

‘আমরা আশা করছি, তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
ভূমিধসে বাঘাইছড়ি বিচ্ছিন্ন, ঝড়ের পরে বিদ্যুৎহীন লামা-আলীকদম
ভারী বৃষ্টির কারণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে ভূমিধসে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল | ছবি: সংগৃহীত

ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বাঘাইছড়ি থেকে কোনো যানবাহন ছেড়ে আসেনি, প্রবেশও করতে পারেনি।

ভারী বৃষ্টির কারণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে ভূমিধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল খায়রুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তিনি নিজেই সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আশা করছি, তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।'

এদিকে ঝড়ে খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলা।

আলীকদম আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাচিংনু মারমা বলেন, 'হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তার ওপর উপড়ে পড়েছে। এছাড়া, রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আশে পাশের অনেক ঘর-বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

ভূমিধসে বাঘাইছড়ি বিচ্ছিন্ন, ঝড়ের পরে বিদ্যুৎহীন লামা-আলীকদম
ঝড়ের পরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলা | ছবি: সংগৃহীত

লামা উপজেলার রূপসীপাড়ার বাসিন্দা অংহ্লাচিং মারমা জানান, তাদের এলাকায় অনেক ঘরের চাল উড়ে গেছে। মাটির ঘরগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন বলেন, 'হঠাৎ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লামা উপজেলার পৌর এলাকা ও রুপাসীপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ নেই।'

তিনি বলেন, 'যতগুলো বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে, সেগুলো ঠিক করতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।'

বিদ্যুৎ না থাকায় দাপ্তরিক সব কাজ বন্ধ আছে বলেও জানান কামরুল।

Comments