বাংলাদেশ

এমভি আবদুল্লাহ: দুবাই থেকে জাহাজেই দেশে ফিরবেন বেশিরভাগ নাবিক

আল হামরিয়াহ বন্দরে কয়লা খালাস করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।
দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে এমভি আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছায়।

এ সময় নাবিকদের অভ্যর্থতা জানাতে আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জেটিতে অবস্থান করছিলেন।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই বন্দরে কয়লা খালাস করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

সোমালি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ১৪ এপ্রিল আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।

কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানিয়েছেন, ২৩ নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে বেশিরভাগই ওই জাহাজে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুজন আরব আমিরাতে জাহাজ থেকে সাইন অফ করে উড়োজাহাজে দেশে ফিরতে চেয়েছেন। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমভি আব্দুল্লাহর সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও জেনারেল স্টুয়ার্ড মোহাম্মদ নূর উদ্দিন ফ্লাইটে দেশে ফিরতে চান।

আমিরাত থেকে চট্টগ্রামে আসতে জাহাজটির প্রায় এক মাস সময় লাগবে বলেও জানান শাহরিয়ার।

মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি আব্দুল্লাহ। ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ৩৩ দিন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল মুক্ত হয় জাহাজটি।

Comments