কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যৌথ অভিযান চলবে: সেনাপ্রধান

সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: স্টার

সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত বান্দরবানের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশের যৌথ অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

আজ রোববার দুপুরে বান্দরবান ৬৯ পদাতিক বিগ্রেড রিজিয়ন মাঠে অভিযানের খোঁজ খবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

গত ২ এপ্রিল রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপহরণের ঘটনার পর সাঁড়াশি অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়।

সেনাপ্রধান বলেন, এর আগে এই কুকি-চিন সমতলে জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে অস্ত্র চালানো, যুদ্ধ প্রশিক্ষণ ও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর গত ২০২২-২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে যৌথ অভিযানে এই সন্ত্রাসীদের মূল ক্যাম্পসহ তাদের অনেক আস্তানা দখলে নিয়েছিল যৌথ বাহিনী। পরে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে শান্তির আলোচনার ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়ে তারা ধীরে ধীরে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে তাদের অবস্থান জাহির করেছে।'

'সেসব বিষয় মাথায় রেখে এবারের যৌথ অভিযানে আমাদের যৌথ বাহিনীর যত সক্ষমতা আছে সব কিছু কাজে লাগিয়ে তাদের মূলোৎপাটন করার জন্য অভিযান পরিচালনার চলছে এবং চলবে।'

তিনি জানান, সরকারের চলমান যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত দুটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলো সেদিনের লুট হওয়া অস্ত্র কিনা খতিয়ে দেখে জানাতে পারব।

অভিযানে সাধারণ নিরপরাধ জনসাধারণের যেন কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হবে বলেও জানান সেনা প্রধান। 

তিনি বলেন, 'সবশেষ কথা হলো সন্ত্রাসীদের এই স্বাধীন সার্বভৌমত্বের ভূখণ্ডে কোনো স্থান নেই। তাদের কোনোভাবে ঠাঁই দেওয়া হবে না। তাদের পুরোদমে নির্মূল করে শান্তির পাহাড়ে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতীতেও কাজ করে আসছে ভবিষ্যতেও করবে। শুধু পাহাড়ে নয়, দেশে যেখানে অশান্তি হবে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে  সেনাবাহিনী কাজ করবে। এখানেও তাই করছি। তাই যেখানে শান্তি আছে সেখানে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই।'

 

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

3h ago