র‌্যাব-আর্মির অভিযানের পর কুকি-চিন ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

র‌্যাব-আর্মির অভিযানের পর কুকি-চিন ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি সরকার তুচ্ছ ঘটনা মনে করছে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলা ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বান্দরবানের ডাকাতিতে জড়িতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা দেখছি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সব কিছু করব, আমরা আগে সব কিছু জেনে নিচ্ছি। এর পেছনে কারা আছে, কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—এগুলো দেখে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনো ছাড় দেবো না। আমরা কঠিন ব্যবস্থা নেব।'

ঈদ বা পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো আশঙ্কার তথ্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'না আসলেও আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি, কোনো হুমকি না থাকলেও আমরা যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, সেগুলো নেওয়া হবে।'

গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি আরও বলেন, 'এই ঘটনাকে আমরা তুচ্ছ ঘটনা মনে করছি না। এর কারণটা কী আমরা বের করব। তারপর ব্যবস্থা নেব। আমরা খুব কঠিন ব্যবস্থা নেব।'

এখানে ভূ-রাজনৈতিক কোনো ব্যাপার আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কাছে এখনো এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছুই হতে পারে কিন্তু না জেনে, তথ্য না পেয়ে আমরা বলতে পারছি না।'

সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, 'একের পর এক আগুন ধরাটা আমাদের কাছে আশ্চর্য লাগছে। কোনো ইঙ্গিত বা কোনো কিছু পেছনে আছে কি না; খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় শিল্প কারখানায় আগুন ধরা, এর পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না আমরা দেখছি। সব কিছু দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।'

কুকি-চিন এত শক্তিশালী হয়ে উঠল সরকারের নজরের বাইরে গিয়ে, এটা উদ্বেগজনক মনে করেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'কুকি-চিনের আস্তানা আমাদের র‌্যাব ও আর্মি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। তারা আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেভাবেই তারা অবস্থান করছিল। এখন তারা কোত্থেকে আসছে, কীভাবে আসছে; মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলছিল, তারা শান্তি চায়। অনেক কিছুই বলছিল। হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি আমাদের কাছে নতুন বিষয় মনে হচ্ছে। সে জন্য আমরা বলছি, যারা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

56m ago