সিরাজগঞ্জ

মহাসড়ক নিরাপত্তায় আজ দুপুর থেকে মাঠে থাকবে ৮৫০ পুলিশ

ঈদযাত্রা
বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তরের মহাসড়কগুলোয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার। ছবি: সংগৃহীত

উত্তরের জেলাগুলোর চার মহাসড়কে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে সিরাজগঞ্জে নিয়োজিত থাকবেন অন্তত ৮৫০ পুলিশ সদস্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাদের মোতায়েন করা হবে।

মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার করা হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মহাসড়কে নিরাপত্তার আয়োজন সম্পর্কে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশে মহাসড়কগুলোয় ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে ইতোমধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

চিহ্নিত স্থানগুলোয় জেলা পুলিশের ৭০৩ সদস্যের বিশেষ টিম কাজ করবে। এ ছাড়াও, সেসব স্থানে হাইওয়ে পুলিশের ১৫০ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

আজ দুপুরের পর থেকেই মহাসড়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

ঈদযাত্রা
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে কড্ডা এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে ঘরে ফিরতে আজ রাত থেকেই উত্তরের মহাসড়কগুলোয় ভিড় বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করছে হাইওয়ে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে চারটি মহাসড়কের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হবে।'

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার গাড়ি এই গোল চত্বর থেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়া-আসা করে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে বলে জানান তিনি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও মহাসড়কে চলমান সংস্কার কাজ ও ফিটনেসহীন যানবাহন চলাচলের কারণে দূরপাল্লার চালকরা ঝঞ্ঝাটমুক্ত চলাচলের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা-পাবনা রুটে বাসচালক মিল্টন হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে ২২ কিলোমিটার রাস্তাটি আমাদের জন্য আতঙ্কের। এই রাস্তায় গাড়ির অনেক চাপ থাকে। আমরা ধীরে চললেও অনেকে আমাদের ওভারটেক করার চেষ্টা করেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।'

হাইওয়ে পুলিশের ওসি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মহাসড়কে কোথাও যানবাহন দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। কোন যানবাহন বিকল হয়ে গেলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দ্রুত সরিয়ে নিয়ে রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। তিনটি রেকার ও চেইন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় রাখা আছে।'

উদ্ধারকারী টিম সবসময় প্রস্তুত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে উত্তরের ১৬ জেলাসহ প্রায় ২২টি জেলায় যাতায়াত করে। ঈদের সময় প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে প্রতি বছর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Climate finance: $250b a year needed

COP29 draft deal says rich nations should pay the amount to fight climate change

18m ago