গণমাধ্যমের কারণে কখনো কখনো দ্রব্যমূল্য বাড়ে: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম গণমাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে প্রতিবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমের কারণে অনেক সময় পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ল' রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, দেখা গেছে যে সকাল ৮টায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ঘাটতি নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। এই খবরের পর সকাল ১০টায় কাওরান বাজারে গেলে দেখবেন পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আর বিকেলে শ্যামবাজারে দেখা যাবে দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।

তিনি বলেন, যদি আট থেকে দশটি চ্যানেল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে রিপোর্ট করতে থাকে, তাহলে পণ্যের চাহিদা ও সংকট তৈরি হয়। তাই মিডিয়ার উচিত ইতিবাচকভাবে প্রতিবেদন করা।

তিনি আরও বলেন, বিচারকদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রতিবেদন তৈরি করা যেতে পারে, তবে সেসব প্রতিবেদন শতভাগ সত্য হতে হবে। বিচারকদের দুর্নীতির তথ্য থাকলে তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিবেদকের কাছে অবশ্যই আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দলিল-প্রমাণ থাকতে হবে। এ ধরনের সাহসী সাংবাদিকতা প্রয়োজন।

তিনি অবশ্য বলেছেন, সঠিক প্রমাণ ছাড়া রিপোর্ট করা হলে, তাতে একজন বিচারকের মানহানি হতে পারে। এটা করা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি বলেন, হাইকোর্ট অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত শিশু-কিশোরদের ছবি, নাম ও ঠিকানা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর তাদের ছবি প্রকাশ করে।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম মামলার আদেশ ও রায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন করতে বলেছেন। তবে আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে হওয়া বিচ্ছিন্ন কথোপকথন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

 

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

11h ago