বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় ভূ-কম্পনে শতাধিক বাড়িতে ফাটল, তদন্ত কমিটি গঠন

বাড়িঘরে ফাটল
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ভূ-কম্পনে স্থানীয় বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় ভূ-কম্পনে শতাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। 

এ ঘটনায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩-৪ বার বিকট শব্দ ও অতিরিক্ত কম্পন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি কেঁপে উঠেছে ও ফাটল ধরেছে।

শনিবার রাতে গ্যাসক্ষেত্র অবরোধ করে স্থানীয়রা। তারা গ্যাসক্ষেত্রের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের করিমপুরে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি অবস্থিত। মার্কিন কোম্পানি শেভরন এতে অর্থায়ন করেছে।'

বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এখানে শব্দ ও ভূ-কম্পনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।'

গতরাতে স্থানীয়রা গ্যাসক্ষেত্র ঘেরাও করলে, খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী, ইউপি চেয়ারম্যান নোমান ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরীকে বিষয়টি জানান। 

জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি জানার পর আমি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে, অতিরিক্ত কম্পনের কারণ দ্রুত খতিয়ে দেখা হবে।'

যোগাযোগ করা হলে শেভরন বাংলাদেশের মুখপাত্র শেখ জাহিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অতিরিক্ত ঝাঁকুনির কারণ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'বিবিয়ানা ও এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এ ধরনের কম্পন এবং ওই এলাকায় অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টের অপারেশনের মধ্যকার কোনো সম্পর্ক চিহ্নিত করতে পারিনি।'

'আমাদের মুল ফোকাস জনগণের নিরাপত্তা, সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago