৭ তারিখ ভোট দিয়ে প্রমাণ করুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা সবাই আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।

আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয়, সেই চক্রান্ত এখনো চলছে। যেহেতু নিজেরা নির্বাচন করে জিততে পারবে না, তারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল ভোটাধিকার থেকে। আমরা বলেছি নির্বাচন হবে। আজকে ৪ তারিখ। ৭ তারিখে নির্বাচন।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আপনাদের অনুরোধ করব, সবাই শান্তিপূর্ণ থাকবেন। বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে অনুরোধ করব, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে থাকবেন। প্রত্যেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার, যেটা মিলিটারি ডিকটেটররা কেড়ে নিয়েছিল এবং আমরা যেটা ফিরিয়ে এনেছি, সেই অধিকার প্রয়োগ করবেন। আজ বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই অধিকার সম্পর্কে সচেতন। সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।'

'২০০৯ সাল থেকে এই ২০২৩ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আজ আমরা ২০২৪ সালে পা দিয়েছি। এই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই, বাংলাদেশের এত উন্নতি হয়েছে,' যোগ করেন তিনি। 

'আমাদের শক্তি দেশের জনগণ' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মানুষকে নিয়েই আমাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন। এই সংগঠন বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। বাঙালি জাতি তাদের জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে। বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই।' 

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নৌকায় ভোট দিয়ে প্রার্থীদের জয়যুক্ত করবেন। আমি সেই আহ্বান জানাই। অবশ্য নৌকায় আবার লাঙ্গলও চড়ে বসেছে। সেটিও একটু দেখবেন। যারা দূরে আছেন, তারা দূরে নেই। তারা আছেন আমার অন্তরে।'

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

7h ago