‘ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের যে দাম দিতে হচ্ছে, তা দেখে কলিজা ছিঁড়ে যায়’

মোমবাতি প্রজ্বালন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইনের আয়োজনে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন।

লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, রাজনৈতিক সংগঠক, নারী অধিকারকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নারী ও শিশুরা গতকাল বুধবার রাতে শহীদ মিনারে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

তারা বলেন, 'আমরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের সঙ্গে সংহতি জানাতে দাঁড়িয়েছি। ফিলিস্তিনিদের অসীম সাহস দেখে সারা বিশ্ব তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আমরাও তার অংশীদার।'

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপ্রধান মোশরেফা মিশু বলেন, 'ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম দীর্ঘ, কিন্তু তা কখনো বৃথা যাবে না। বাংলাদেশের বিবেকবান জনগণ তাদের স্বাধীনতা-মুক্তির সংগ্রামে সবসময়ে সোচ্চার ছিল ও থাকবে। একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র যারা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধকে শুধু সমর্থন না, প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন করছে আমরা তাদের ধিক্কার জানাই এবং বিচার চাই।'

লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ বলেন, 'ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমরা নাড়ির টান অনুভব করি, কারণ বাংলাদেশেও গণহত্যা হয়েছিল। সেই গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। ফিলিস্তিন এখনও পরাধীন, কিন্তু যেভাবে সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ গণহত্যার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমেছে, আমাদের বিশ্বাস এবার একটা ফয়সালা হবেই হবে।'

তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধের জন্য শুধু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই নয়, গণহত্যার মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং ইইউর বেশিরভাগ দেশের নেতাদেরও বিচার হবে।'

'ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিনিধনের অভিযোগ, গণহত্যার অভিযোগ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরবে উঠছে, এমনটা এর আগে ঘটেনি, তাই আমরা আশাবাদী। তবে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মানুষের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যেই দাম চুকোতে হচ্ছে, সেটা দেখলে আমাদের কলিজা ছিঁড়ে যায়,' যোগ করেন তিনি।

রেহনুমা আহমেদ আরও বলেন, 'গণতন্ত্রকামী মানুষ হিসেবে আমরা একইসঙ্গে লজ্জা বোধ করি যে আমাদের সরকার ইসরায়েলের মতো দেশ থেকে নজরদারি ও আড়িপাতার যন্ত্র কিনেছে, আর এ দেশের সিকিউরিটি ফোর্সের অফিসাররা ইসরায়েলিদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।'

কর্মসূচির আয়োজক বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন মনে করে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম একই সুতোয় গাঁথা। প্রতিরোধের গান 'আমরা করবো জয়' সমবেত কণ্ঠে গাওয়ার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s population hits 175.7 million, majority of working age

Bangladesh's population has reached 175.7 million, two thirds of which, around 115 million, are of working age, between 15 to 64..The estimation was made by the United Nations Population Fund's (UNFPA) annual flagship publication, the State of World Population (SWOP) 2025..UNFPA Repr

38m ago