শিক্ষক নেতা জাকির হোসেনের মুক্তি চেয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের বিবৃতি

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তি, গণগ্রেপ্তার ও গায়েবি মামলা দায়ের বন্ধ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেনকে সোমবার বিকেলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তার ধোলাইখাল এলাকার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকার কারণে এর আগে তাকে জনতাবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। যা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না।

বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু জাকির হোসেনই নয়, ইতোমধ্যে অন্তত আরও ২৫ জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন- মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মইনুল হোসেন সাদিক ও ডা. এম এ আজিজ, গাইনোকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা, ডা. আতিকুল ইসলাম, দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ হোসাইন, সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট মনজুরুল আলম সুজন, অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান মিলন, অ্যাডভোকেট জুয়েল মুন্সি সুমন, চাঁদপুর থেকে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন খান, রাজবাড়ী থেকে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বাবু, গোপালগঞ্জ থেকে তৌহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলা অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন ও অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রনি, সিরাজগঞ্জ থেকে অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, ফরিদপুর থেকে অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান ও অ্যাডভোকেট খসরুল ইসলাম, বরগুনা থেকে অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াসি মতিন, অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ থেকে অ্যাডভোকেট ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক হিমেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এভাবে পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়ার মাধ্যমে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। পেশাজীবীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন ও দুঃশাসনের কারণে দিন দিন এ দেশ মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মনে করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus commission: Talks snag on women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

1h ago