নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশকে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলল ইইউ প্রতিনিধিদল

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অবাধ বাজার সুবিধা 'এভরিথিং বাট আর্মস' কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে বাংলাদেশকে প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি, সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা এর মধ্যে অন্যতম।

ইউরোপীয় বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকারের শর্তগুলো পূরণ করছে কিনা যাচাই করতে আসা ইইউর প্রতিনিধি দল আজ এসব কথা বলেছে।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজকে তাদের কাজ করতে দেওয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের প্রত্যাশা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার গঠিত হবে।

'এভরিথিং বাট আর্মস' কর্মসূচির আওতায় ইইউর বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। মানবাধিকার ও শ্রমিকদের অধিকারকে সম্মান করে এমন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য এই সুবিধা দেওয়া হয়।

'এভরিথিং বাট আর্মস' কর্মসূচিতে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায় এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০২২ সালে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছায়।

ইউরোপীয় এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা প্যাম্পালোনির নেতৃত্বাধীন ইইউর প্রতিনিধি দলটি পাঁচ দিনের সফরে গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছায়। তারা বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, তৈরি পোশাক ব্র্যান্ড ও বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বিবৃতিতে তারা গার্মেন্টস খাতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ, আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও সামাজিক অধিকারে উন্নতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, শিশু শ্রম, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও শ্রমিক ইউনিয়নের ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে বলে ইইউ মিশন তাদের পর্যবেক্ষণ থেকে জানিয়েছে।

ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে ইইউর প্রতিনিধি দল কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়ানো হয়েছে তবে সবার তা হয়নি।

শ্রম আইন সংশোধন প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহসান-ই-এলাহী বলেন, আইএলওর পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাযথ সংশোধনী করা হবে।

বৈঠকে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি দাস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago