সাভারে ১৩০ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

পোশাক কারখানার সামনে কারখানা বন্ধের নোটিশ পড়ছেন কয়েকজন শ্রমিক। ছবিটি আজ শনিবার আশুলিয়ার নরসিংহপুরের একটি পোশাক কারখানার সামনে থেকে তোলা। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/ স্টার

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধু শিল্পাঞ্চল আশুলিয়াতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১০০ কারখানা।

দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।

তিনি বলেন, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মিলে এখানে ১৭৯২টি কারখানা রয়েছে। চলমান আন্দোলনের কারণে এ অঞ্চলের মোট ১৩০টি কারখানা ১৩/১ ধারায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে সাভার ও আশুলিয়ার পরিস্থিতি ভালো। খোলা কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কাজ করছে। আর কাজের পরিবেশ ধরে রাখার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছি।

শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় কয়টি মামলা ও কত জন আটক হয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত অসন্তোষের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৬ জন এজাহারনামীয় ও বাকি সবাই অজ্ঞাতনামা আসামি। অজ্ঞাত কতজন আসামি রয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।'

এদিকে এর আগে তিন মামলায় অজ্ঞাত ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করার তথ্য জানা যায়।

এদিকে সকালে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার, জামগড়া, নরসিংহপুর, জিরাবো ও কাঠগড়া এলাকা ঘুরে দেয়া যায় অধিকাংশ কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টানানো হয়েছে। শ্রমিকরা নোটিশ দেখে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন।

কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে আলাপকালে তারা ডেইলি স্টারকে বলেন, কারখানা  অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় তারা চিন্তিত। তারা মনে করেন মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে ও শ্রমিকদের ভয় দেখাতে মালিক পক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ১৩০টি কারখানায় কমপক্ষে দুই লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। ১৩/১ ধারায় কারখানা বন্ধ হওয়ায় আমরা শ্রমিক নেতারা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই শিল্পের চাকাও ঘুরুক, শ্রমিকেরাও বাঁচুক। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কারখানা খুলে দেওয়া হোক।

সম্প্রতি মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি  ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করে। শ্রমিকেরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করে।

Comments