ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল ঢাকায়

ইউরোপীয় ইউনিয়েনের পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন আজ রোববার ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ২ সপ্তাহের সফরে, ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।

এটি একটি স্বাধীন পেশাদার পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া; ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো রাজনৈতিক মিশন নয়।

বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন এখানে পাঠানোর উপযোগী, সুপারিশযোগ্য কিংবা সম্ভব কি না।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি উইংয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'এই মিশনের কাজ হবে মূল নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের পরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করা।'

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিতক হচ্ছে এবং এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তেমন কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেলের কাছে যে মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে তার ওপর ভিত্তি করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন (ইওএম) পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায় তাদের কার্যক্রমের সময়সূচি প্রকাশ করেনি।

তবে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, 'এখন পর্যন্ত তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পরিকল্পনা নেই। এমনকি তাদের নামও প্রকাশ করা হয়নি; কারণ প্রতিনিধি দলটি সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ থাকতে চায়।'

এদিকে, নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই মিশনের মূল্যায়ন অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্যেও মানদণ্ড নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে—তারাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসবে কি না।

এর আগে ২০১৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh-US tariff talks underway in Washington

Based on progress made so far, Bangladesh hopes for a positive outcome

7h ago